আষাঢ় নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে
জলতরঙ্গের মোহিনী কলরোলে
এমন শ্রাবণে আমার ভেতরে
জেগে ওঠে গোপন সত্তা
আমি প্রবল উচ্ছ্বাসে ছুটে যাই বারান্দায়
গ্রিলের ফাঁক গলে বাড়িয়ে দেই হাত-
হাত পেতে নেই বৃষ্টির জল
চোখ বুঝে গভীর আবেশে পরখ করি
ফোটায় ফোটায় জমে আছে কতটা মেঘের বেদনা
আমি খুব গোপনে ফিসফিসিয়ে শুধাই তুমিই কি সেই বরষা?
যে বর্ষার কথা বলেছিল রোদ্রিতা
বলেছিল-
'এক বরষায় আমরা দুজন খুব ভিজবো
হাতে হাত রেখে, ডুবে যাব দুজনার চোখে।
তুমি চাইলে আমার অধর ছুঁয়ে দিতে পার তোমার ওষ্ঠে।
সেদিন অধরসুধা পানে আমরা দুজন ভিজিয়ে দেব বর্ষাকেও।'
-'প্রলুব্ধ করোনা, সাধু পুরুষও ডাকাত বনে যায় এমন বরষার আমন্ত্রণে'
-'বড্ড অবুঝ তুমি। বোঝ না কেন ভিজিয়ে দেবে, নিভিয়ে দেবে বলেই তো এমন বরষার আগমন।'
-বরষা তো ভেজাবেই। বুঝিনি কি বলছ তুমি?
-ধ্যাত, কিছুই বোঝ না তুমি। বোঝ না কেন এমন বরষায় আমারও সর্বস্বান্ত হতে ইচ্ছে হয়!'
আমি প্রবল উচ্ছ্বাসে ছুটে যাই বারান্দায়
গ্রিলের ফাঁক গলে বাড়িয়ে দেই হাত-
হাত পেতে নেই বৃষ্টির জল
চোখ বুঝে গভীর আবেশে পরখ করি
ফোটায় ফোটায় জমে আছে কতটা মেঘের বেদনা
আমি খুব গোপনে ফিসফিসিয়ে শুধাই তুমিই কি সেই বরষা?