পৃষ্ঠাসমূহ


আমি খুব গোপনে ফিসফিসিয়ে শুধাই তুমিই কি সেই বরষা?



















আষাঢ় নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে
জলতরঙ্গের মোহিনী কলরোলে
এমন শ্রাবণে আমার ভেতরে
জেগে ওঠে গোপন সত্তা
আমি প্রবল উচ্ছ্বাসে ছুটে যাই বারান্দায়
গ্রিলের ফাঁক গলে বাড়িয়ে দেই হাত-
হাত পেতে নেই বৃষ্টির জল
চোখ বুঝে গভীর আবেশে পরখ করি
ফোটায় ফোটায় জমে আছে কতটা মেঘের বেদনা
আমি খুব গোপনে ফিসফিসিয়ে শুধাই তুমিই কি সেই বরষা?
যে বর্ষার কথা বলেছিল রোদ্রিতা
বলেছিল-
'এক বরষায় আমরা দুজন খুব ভিজবো
হাতে হাত রেখে, ডুবে যাব দুজনার চোখে।
তুমি চাইলে আমার অধর ছুঁয়ে দিতে পার তোমার ওষ্ঠে।
সেদিন অধরসুধা পানে আমরা দুজন ভিজিয়ে দেব বর্ষাকেও।'
-'প্রলুব্ধ করোনা, সাধু পুরুষও ডাকাত বনে যায় এমন বরষার আমন্ত্রণে'
-'বড্ড অবুঝ তুমি। বোঝ না কেন ভিজিয়ে দেবে, নিভিয়ে দেবে বলেই তো এমন বরষার আগমন।'
-বরষা তো ভেজাবেই। বুঝিনি কি বলছ তুমি?
-ধ্যাত, কিছুই বোঝ না তুমি। বোঝ না কেন এমন বরষায় আমারও সর্বস্বান্ত হতে ইচ্ছে হয়!'
আমি প্রবল উচ্ছ্বাসে ছুটে যাই বারান্দায়
গ্রিলের ফাঁক গলে বাড়িয়ে দেই হাত-
হাত পেতে নেই বৃষ্টির জল
চোখ বুঝে গভীর আবেশে পরখ করি
ফোটায় ফোটায় জমে আছে কতটা মেঘের বেদনা
আমি খুব গোপনে ফিসফিসিয়ে শুধাই তুমিই কি সেই বরষা?

সম্প্রদান

উজার করে দেইনা বলেই উজার করে পাইনা। যে দানে সংশয় থাকে সে তো সম্প্রদান নয়। আর সংশয় মুক্ত দানেই প্রতিদান মেলে অনাকাঙ্খিত। তবে এমন দানে কেউ কেউ ঠকে ও সবচাইতে বেশী। তবু সে ঠকায় আত্মতৃপ্তি থাকে, শান্তি থাকে। সংশয় নিয়ে যা দেই তাতো গেল-ই সাথে রাতের ঘুমও হারাম হয়ে যায়।।

স্বপ্ন

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভয় পায় না। ভয় পায় সেই স্বপ্নের কাছে ধরা দিতে।।

রোমাঞ্চকর সময়

প্রেমের সবচাইতে রোমাঞ্চকর সময়, প্রেমে পরা আর প্রেম হওয়ার মধ্যবর্তী সময়।।

বন্ধু,একাকীত্ব

মানুষ বন্ধু নির্বাচনে সবচেয়ে বেশী ভুল করে যখন সে একাকীত্বে ভোগে।।

প্রতীজ্ঞা

যাদের কাছে প্রতীজ্ঞার মূল্য নাই, তারা অতি ক্ষুদ্র লাভের জন্যও অন্যের কাছে অনেক বড় বড় প্রতীজ্ঞা করে ফেলে।

প্রেম, বিয়ে

মেয়েরা পাগলের সাথে প্রেম করতে চায়, বিয়ে বসতে চায় পাগলের ডাক্তারের সাথে।
আর ছেলেরা বেশ্যার মত আচরনের মেয়ের সাথে প্রেম করতে চায়, বিয়ে করতে চায় কুমারী সতী।

সাইকেল

ঢাকায় হঠাৎ করে সাইকেলের খুব চল দ্যাখা যাচ্ছে। বেশীর ভাগই অল্প বয়সী স্কুলগামী, অসংখ্য তরুনও আছে। ফেসবুকে পেজও দেখলাম। দল বেধেঁ চলছেন অনেকে। ক্লাব হচ্ছে। ব্যাপারটা দেখতে খুব ভাল লাগে। তার কারন হচ্ছে আমিসহ অনেকেই সময় অসময়ে হেলমেট ছাড়া বাইক চালালেও এই সব সাইকেল আরোহী অনেকেই দিব্যি হেলমেট পড়ছেন, এমনকি অনেকে knee guard, elbow guard ও ব্যাবহার করছেন। হয়ত স্টাইলের জন্য তবে মোদ্দা কথা পড়ছেন এবং দেখতেও ভাল লাগে। তো সাইকেল ভাইরাস আমার বাসায় ও লাগলো। ছোট ভাই দুটির আবদার আমার কাছেই বেশী থাকে। সাইকেল কিনতে গেলাম বংশালে। শুনে আশ্চর্য হলাম ৬০/৭০ হাজার টাকার সাইকেলও দেশে তৈরী হচ্ছে এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানীও হচ্ছে। শুনে গর্ব হল নিজেকে নিয়ে, দেশকে নিয়ে। যাই হোক সাইকেল কেনা হল। আমিও দোকানে যেতে হলে মাঝেমাঝে হুটহাট সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যাই। যতবার সাইকেলে উঠি আমার নিজের সাইকেল চালানো শেখার কথা মনে পড়ে যায়। আমার বাসায় একটা সুনাম আছে ছোটবেলা থেকে। আমি কারও কাছে কিছু আবদার করি না। আসলে নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন পরিবেশে আবদার মানে অত্যাচার। ছোট্ট আমি কিভাবে যেন সেটা বুঝে গিয়েছিলাম। বাসার কারও কাছে কখনো মুখ ফুটে কিছু চাওয়া হয়নি। অভ্যাসটা এখনও আছে। কারও কাছেই মুখ ফুটে বলতে ইচ্ছা করে না এটা দাও, ওটা চাই। কেউ যদি আমাকে বুঝে নিজেই এগিয়ে আসে তখন আমি খুশিতে এ্যাবনরমাল হয়ে যাই। তো আমাদের দোতালায় যে ফ্যামিলিটা থাকতো ওরা ছিল দুই বোন এক ভাই। এক ভাই এক বোন আমার থেকে বড় আর এক বোন ছোট। সহানুভূতি হোক আর আদর নামটা যাই হোক আমার কখনো অভাব হয়নি ছেলেবেলায়। তো ছোট বোনটার একটা সাইকেল ছিল। আমি ওর কাছ থেকে সাইকেল শিখতাম। বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে দেখতাম ও সাইকেল চালাচ্ছে। আমি চালাতে চাইলে দিত তবে শর্ত হচ্ছে ওকে কমিক বই এনে দিতে হবে। বই না থাকলে no সাইকেল। তখন চাচ চৌধুরী পিংকী কঁচি কাঁচার নেশার বস্তু। এক পিস ১৫ টাকা। টাকাতো নেই। স্কুলে অন্যরা তখন এ ওর সাথে অদল বদল করে কমিক পড়ে। আমার কাছে বই নেই তাই অদল বদলের সুযোগ নেই। তবে কেন যেন অনেকেই বই দিত পড়তে। আমি সেই বই দিতাম মেয়েটাকে। তো সব দিন বই আনতে পারতাম না আর সবদিন শেখা ও হত না। আবার মাঝে মাঝে ও নিজে থেকেই দিত। বই নেই বললে বলতো লাগবে না। আসলে মায়ের জাত তো কতক্ষন আর নির্দয় হয়ে থাকবে। কিন্তু যার জন্য সাইকেল চালানো শিখলাম তার নাম আজ আর মনে নেই। ও দুই বেনী করত আর ফ্রক পরতো। এক সময় আমাদের বাসা বদল হল। আজ ওরা কোথায় জানি না। তবে সাইকেলে চড়লেই আমার সেই সময়ের কথা মনে হয়। হয়ত এটাও একধরনের প্রেম যার মূল চরিত্র সাইকেল আর কমিক বুক। তখন চাওয়া পাওয়া গুলো ক্ষুদ্র ছিল, সহজেই হিসেব মিলে যেত। যতদিন যায় কোন সম্পর্কের হিসেব আর মেলে না। যোগ করতে যেয়ে বিয়োগ করে ফেলি, বিয়োগ করতে যেয়ে ভাগ, হাতে কত ধরা ছিল ভুলে যাই। তবে একটা জিনিস বুঝতে পারি অতীতের সব কষ্ট, সব সময় কষ্ট দেয় না, কিছু কষ্টকে মনে করতেও মাঝে মাঝে ভাল লাগে।

অনুভূতি

কিছু অনুভূতি প্রকাশ করলেই ফিকে হয়ে যায়। অনুভূতিটা যে তীব্র ঝড় তুলছিল প্রকাশ হয়ে পড়তেই কেমন থিতিয়ে যায়। কিছু অনুভূতির তাই যাবতজীবন কারাদন্ডই শ্রেয়।।

পূর্ণতার কাছাকাছি

মানুষ যে কোন বিষয়ে যত পূর্ণতার কাছাকাছি যায়, সে বিষয়ে তার আত্মতৃপ্তি তত হ্রাস পায়...

ভালবাসায় দুজন মানু

ভালবাসায় দুজন মানুষ একই সাথে সুখী হতে পারে না। একজন সুখী হলে অপর জন অবশ্যই দুঃখে থাকবে...দুজন একই সাথে সুখী হওয়ার ব্যাপারটা বিরল.....

মরুভূমি শুষ্কতা

বৃষ্টি হারিয়ে ফেলেছে তার সহজাত
ভেজানোর ক্ষমতা
এবারের বর্ষার ঘন বরষার জলে
শুধুই মরুভূমি শুষ্কতা....

রাগ আর মন খারাপ

ভীষন মন খারাপ কারও মন কিছুতেই ভাল না হলে তাকে রাগিয়ে তুলতে হয়। রাগ আর মন খারাপ এক সাথে থাকে না। রাগ হলে দুঃখ পালিয়ে যায়।

খুটিয়ে খুটিয়ে দেখবে

মেয়েরা পরিচয়ের প্রথম দিন থেকেই আপনাকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখবে। কিভাবে কথা বলে, কিভাবে হাসে, কাপড় চোপড় কেমন even চুলের সিথি কিংবা আঙ্গুলের নোখ। সব details। অবশেষে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত পাকাপোক্ত হয়ে যায় আপনার সাথে তার সম্পর্ক কেমন হবে। বন্ধু, দোস্ত, হ্যালো হাই বাই, ভাই, ভালবাসা। আর এই সিদ্ধান্ত থেকে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সরে আসবে না।

যাচ্ছি ভীষন বদলে.

টিক টিক করে ঘড়িটি রোজ রোজ যায় বলে
তুমি আমি যাচ্ছি ভীষন বদলে....

বড় নেশা

ভালবাসাই নাকি সবচাইতে বড় নেশা.....তবে সব নেশাই একসময় কেটে যায়....আর আসক্তি থেকে মুক্তি পেয়ে কেউ সে নেশায় ফিরে যেতে চায় না ভয় পায়...তাই হয়ত আমরা দ্বিতীয়বার ভালবাসতে পারি না....

সুখ

সবাই সুখের জন্য প্রেম খোজে, প্রেম মেলে সুখ মেলে না। ভাল থাকার জন্য ভালবাসা খোজে, ভালবাসা মেলে, ভাল থাকা হয়ে ওঠে না।

বিরক্ত

কেউ বিরক্ত করলে মেজাজ খারাপ হবে সেটাই স্বভাবিক। তবে যে নিয়মিত বিরতীহীন বিরক্ত করে যাচ্ছে সে হঠাৎ করে বিরক্ত করা বন্ধ করে দিলে কেন বারবার মনে হয় সে কেন আর বিরক্ত করে না? সে কি অসুস্হ, সে কি আর আমাকে পছন্দ করে না? তারমানে বিরক্ত করেও মানুষের মনের মধ্যে জায়গা তৈরী করা যায়?

অমূল্য রতনহার

না চাইতেই যা দিয়েছ
সেটুকুই অমূল্য রতনহার
চেয়েও যা পাইনি
তার নাম হাহাকার.....

তীব্র আকাঙ্ক্ষা

তীব্র আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা না পেলে পরিণত হয় তীব্র বিতৃষ্ণায়। সে বিতৃষ্ণায় মানুষ নিজেও পোঁড়ে আসে পাশে যারা থাকে তাদেরও পোঁড়ায়।।

বলতে শরম লাগে আমি আসলে ধ্বজ

আড়ং এর উপরে সপ্ত জান্নাত। নিয়মিত Dating মারা ভাই Salman Rahman Dedar বলতো ভাইয়া চরম জায়গা একদিন যাইয়েন। আজকে প্রথম গেলাম। সামনে বিশাল মানিক মিয়া এভিনিউ। চারিদিকে ব্যাস্ততা, শব্দ কোলাহল, মানব, যান্ত্রিক দানব। আর আমি অনেক উপরে আকাশের কিছুটা কাছাকাছি। সাথে প্রিয় Ra Eahsan। সংসদ ভবন বিল্ডিটাকে সন্ধ্যার আলো আধারিতে চমৎকার লাগছিল। দেখতে দেখতে মনের মধ্যে একটা চিন্তা ঝিলিক দিয়ে গেল। গল্প করতে করতে আর photography lesson নিতে নিতে চিন্তাটা দানা বাঁধতে পারলো না। বাসায় ফিরছি একা একা তখন আবার চিন্তা এল। সংসদ ভবন এত সুন্দর স্হপত্য এর ভিতরে কিলবিলে কিছু মানুষ। দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আর আমরা, তুমি, আমি হা করে দেখছি। তবে আর যাই হোক রাজনীতি করবো না। বড্ড বাজে জিনিস। আর রাজনীতিবিদ!! ছ্যা মানুষ নাকি একটাও। আমিতো আমি আমার নাতি পুতির পুতি ও জানি এই রাস্তায় না যায় ব্যবস্হা করা দরকার।

ছোট্ট বাচ্চাটা ধর্ষিত হল। ধর্ষকের ছবিও দেখলাম। বাচ্চা একটা ছেলে। আর ধর্ষকতো আমার মত শিক্ষিত না। এরা তো এই সব করবেই। আমি সচেতন নাগরিক ফেসবুকে পোস্ট দেই, কমেন্ট করি লাইকও দেই। দুই চার দিন যাক সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। আর মাঝে মাঝে এই সব না হলে চলে? আড্ডা মারার একটা বিষয় তো চাই। তর্ক বিতর্কে পশ্চাদেশ গরম। ধর্ষিতা আর ধর্ষক আমার বোন ভাই না হলেই চলে। কে করলো, কারে করলো, কেন করলো, আসল সমস্যা কই এই সব আমার না ভাবলেও চলে।

হেফাজত, শিবির, যুদ্ধঅপরাধি কত কিছু হয়ে গেল, কত কিছু হচ্ছে। ইসলামের চৌদ্দ গুষ্টি পারলে কবর থেকে তুলে এনে ফাঁসি চরানো হচ্ছে। কেউ দাড়ি টুপি পরে অন্যায় করলো তো দোষ ইসলামের। বিয়ে কয়টা করলো সে দোষ মোহাম্মদের (স:)।
আমি অবশ্য ঠিক আছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি না, মাইয়া মানুষরে গা ঢাকতে বলি নিজে চোখ নামাই না। জুম্মাবারে গোসল, আতর মাখি নামাজ শেষে ভাত খাইয়া দিবা নিদ্রা। আমার নিজের ইসলাম কিন্তু ঠিক আছে।

সাভার, বাজেট, রাজনীতি, সুন্দরবন, আজকে শুনি ব্রক্ষ্মপুত্রে বাঁধ আরও কত কি বাল ছাল আজাইরা ক্যাচাল। চলতেছে চলুক। আমার কি? কিছু ঘটলে, সবাই করে আমিও আহু উহু চুক চুক করে চালিয়ে যাব। আমার পেটে ভাত আছে, মাথার উপর ছাদ আমার নেটের লাইনও আছে। আর কি কিছু চাইতে পারি। যার যা খুশি হোক। আমার মত আমার চললেই হল। খালি একটা কথা বলতে শরম লাগে আমি আসলে ধ্বজ। কিছু বদলানোর ক্ষমতা নাই। ভিতরে আগুন নাই, ওই ধর্ষকের মত আমার খাড়ায় না। ও তো আমার চেয়ে ভাল নিজের ভেতরের পশুটাকে বাইরে আনতে পারে। আমি শিক্ষায় ভদ্রতায় মিউ মিউ করি। আর মন ভাল করতে আড়ং এর উপরে সপ্ত জান্নাতে ঘুরি।।